ঢাকা ২৮ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে সালমা বানু! ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা , ৭০ জন নিহতের দাবি ভারতের। পৈত্রিক সম্পত্তি বাঁচাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপিতে মাহাদী হাসানের অভিযোগ সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধি উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুনর্বাসন কেন্দ্র গাবতলী'র বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার মাহফিল ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে আমার দেশ পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে এক প্রতারকের চাঁদাবাজির অভিযোগ ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বহাল তবিয়তে

পরকালের আলো জ্বালিয়ে গেছেন হাফিজ মনোহর আলী

#

১২ মার্চ, ২০২২,  10:20 PM

news image

মানুষ মরণশীল, কে কখনো এই মায়া ভরা পৃথিবী হইতে চলে যাবে বলতে পারে না। তাই অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের আশা আকাংখ্যা পূর্ণ হয় না। আজ এমন এক গুণী ব্যক্তির বিষয়ে আলোকপাত করছি যার গুণগান লিখে শেষ করার মতো নয়। আমাদের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার ৪নং মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের বাসীন্দা হাফিজ মনোহর আলী, তিনি সদা সবর্দা সমাজের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি কাটাখালী বাজার সামসুল উলূম হাফিজীয়া মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম ও জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন। হাফিজ মনোহর আলী সহ তারা ৫ ভাই ও এক বোন, বড়ভাই বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব হাজী কলমধর আলী , ২য় মরহুম মজমধর আলী , ৩য় মরহুম হাফিজ মনোহর আলী, ৪র্থ সুনাহর আলী, ৫ম মরহুম সফিজুল ইসলাম , বোন কমলাই বিবি, পিতা মরহুম আব্দুর রহিম। হাফিজ মনোহর আলী ছিলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার একজন সালিশ ব্যক্তিত্ব এবং পবিত্র কোরআনে হাফেজ্।


দোয়ারাবাজার উপজেলায় যেখানেই সালিশ বৈঠক বসে সেখানেই ছিল হাফিজ মনোহর আলীর পদচারণা। গত ৮ ই মার্চ ২০২২ ইং হঠাৎ তিনি হৃদ রোগে আক্রান্ত হন। তাকে সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর ৫ টায় হাফিজ মনোহর আলী সকল মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি ৫ ছেলে ২ মেয়ে রেখে যান। সবচাইতে আনন্দের বিষয় হচ্ছে হাফিজ মনোহর আলীর ঔরসজাত ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে পবিত্র কোরানের হাফেজ। বিগত রমজান মাসে তার আলোকিত ৪ ছেলে রমজান মাসের খতমে তারাবীর নামায পড়িয়েছেন। তার ১ম ছেলের নাম হচ্ছে হাফিজ আমিনুল ইসলাম, ২য় ছেলে হাফিজ এমরানুল ইসলাম, ৩য় হাফিজ কামরানুল ইসলাম, ৪র্থ ছেলে হাফিজ আখলাকুল ইসলাম, ৫ম হাফিজ আতিকুল ইসলাম ও ৬ষ্ঠ মেয়ে হাফেজা মোছাঃ তামান্না আক্তার এবং মোছাঃ তাহমিনা আক্তার।


ইহকাল ও পরকাল দুটো জীবন উভয়টা সবার জন্য প্রয়োজন। তবে পরকালের জিন্দেগী খুবই ভয়াবহ। দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় পরকালের জন্য যা সঞ্চয় করা যায় ইহাই কাজে লাগবে। আজ আমদের এক ভাই দুনিয়া ও আখেরাতের আলো জ্বালিয়ে পরলোক গমণ করেছেন। আমরা তার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করি আল্লাহপাক যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল