সুনামগঞ্জ সদরে ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজওয়ালা মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে
০৭ মার্চ, ২০২২, 6:02 PM

০৭ মার্চ, ২০২২, 6:02 PM

সুনামগঞ্জ সদরে ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজওয়ালা মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী এবং স্বনামধন্য একটি গ্রাম হুরুয়ারকান্দা। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধোপাজান চলতি নদী। এই নদী ভাঙ্গনের কারণে শত বছরের পুরনো তিন গম্বুজওয়ালা মসজিদটি আজ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে নদীতে পানির অনেক স্রোত হয়। সেই স্রোতের ফলে মসজিদের অনেক জায়গাতেই ভাঙ্গন ধরে। আর নদীতে পানি ভারলেই মসজিদের মধ্যে হাঁটু পানি হয়ে যায় এবং মুসল্লীরা ওই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারে না।
অনেক বছর যাবত মসজিদের সংস্কার না করার কারণে মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। যার ফলে কিছু কিছু মুসল্লিরা মসজিদে আসতে ভয় পায়, কখন যে মসজিদ ভেঙে পড়ে নদীতে পড়ে। বেশ কয়েকবছর আগে হুরুয়ারকান্দা গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে এবং সরকার থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মসজিদের পিছনের অংশে গার্ডওয়াল তৈরী করেছেন। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ওই গার্ডওয়ালটি বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে।
বর্ষায় নদীর স্রোতে গার্ডওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে পড়ে, ভেঙ্গে যাওয়া গার্ডওয়ালটির প্রতিবছর পূর্ণঃসংস্কার করতে হয়। মসজিদের তহবিলে অর্থ না থাকায় পূর্ণঃসংস্কারের কাজ করতে পারছে না গ্রামবাসী। এমতাবস্থায় ভাঙ্গা জায়গা গুলোর সংস্কার কাজ না করতে পারলে এই ঐতিহ্যবাহী তিন গম্বুজওয়ালা পুরাতন মসজিদটিকে রক্ষা করা যাবে না।
হুরুয়ারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মনিরুল হক বলেন, আমাদের গ্রামের তিন গম্বুজওয়ালা মসজিদটি প্রায় একশ বছর আগে আমাদের বাপ দাদারা তৈরি করে ছিলেন। নদীর পাড় ভাঙ্গার কারনে মসজিদটি এখন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে আছে। বর্ষায় নদীর পানি বাড়ার আগে যদি কিছু সংস্কার না করা যায় তাহলে মসজিদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এখন আমরা যদি সরকারী তহবিল থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাই তাহলে নতুন একটি মসজিদ তৈরি করতে পারবো।