ঢাকা ২৮ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে সালমা বানু! ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা , ৭০ জন নিহতের দাবি ভারতের। পৈত্রিক সম্পত্তি বাঁচাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপিতে মাহাদী হাসানের অভিযোগ সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধি উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুনর্বাসন কেন্দ্র গাবতলী'র বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার মাহফিল ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে আমার দেশ পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে এক প্রতারকের চাঁদাবাজির অভিযোগ ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বহাল তবিয়তে

সুবর্ণচরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

#

আহসান হাবীব, নোয়াখালীঃ

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  3:33 PM

news image

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে লাইসেন্সবিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মাননির্ণয় ছাড়াই এসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার থেকে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।  বিভিন্ন স্থানে সিলিন্ডার বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলিন্ডারের মাধ্যমে আবাসিক খাতে গ্যাস ব্যবহারের জন্য বিস্ফোরক অধিদফতরের কয়েকটি নীতিমালা রয়েছে। মহা বিস্ফোরক অধিদফতর কর্তৃক এসব নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং সেলও রয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি গ্রুপ অব কোম্পানি আবাসিক খাতে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার তৈরি এবং বাজারজাত করছে। আর নীতিমালা ভঙ্গ করে এসব সিলিন্ডার এখন যত্রতত্র বিক্রি করা হচ্ছে। বিস্ফোরক অধিদফতর গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় ও বিপণন লাইসেন্স প্রদান করলেও সাব-ডিলারের নামে এসব প্রতিষ্ঠান বাজারে মুদি মালের মতো গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক উপজেলার এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মনিটরিং করার কথা থাকলেও অসাধু গুটিকয়েক কর্মকর্তা উৎকোচের বিনিময়ে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ে উল্টো মদদ প্রদান করছে। বিধি মোতাবেক ১০টির বেশি সিলেন্ডার মজুদ রেখে বিক্রির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদফতরের সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর অধীনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ২০০৪-এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০টি গ্যাসপূর্ণ সিলেন্ডার মজুদ করা যাবে। তবে বিধির ৭০ ধারা অনুযায়ী এসব সিলেন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং আগুন নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। এসব আইনের তোয়াক্কা না করে চা-দোকান থেকে আরম্ভ করে ভ্যারাইটিজ স্টোরেও পাওয়া যায় এ সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। বর্তমান সময়ে সুবর্ণচর উপজেলায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এ উপজেলায়  গ্যাস লাইন সংযোগ না থাকায়  তাদের একমাত্র ভরসা সিলিন্ডার গ্যাস। কিন্তু এ সিলিন্ডার গ্যাস উপজেলার সর্বত্র বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবহন ও বিস্ফোরক অধিদফতরের অনুমতিবিহীন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দেদার বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের সামনে এমনকি ফুটপাথে সিলিন্ডার ফেলে রেখে এ ব্যবসা নির্বিগ্নে পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। মুদি দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, মেশিনারি দোকান, সারের ডিলার এবং চা-দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে এ সিলেন্ডার গ্যাস। অরক্ষিত অবস্থায় যত্রতত্র সিলিন্ডার ফেলে রেখে বিক্রির ফলে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এসব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার কথা থাকলেও তা নেই অধিকাংশ দোকানে। আবার কোন কোন দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা অকেজো ও মেয়াদোত্তীর্ণ। বর্তমানে এ উপজেলাতেই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিলেন্ডার নিজেদের মনগড়াভাবে যেখানে সেখানে সিলিন্ডারের বোতল ফেলে রেখে ব্যবসা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই এসব দোকানে। বেশিরভাগ দোকানি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল