ফুলছড়ির ৬ ইউনিয়নে ১৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
০৯ জানুয়ারি, ২০২২, 6:19 PM

০৯ জানুয়ারি, ২০২২, 6:19 PM

ফুলছড়ির ৬ ইউনিয়নে ১৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ৬ ইউনিয়নে গত বুধবার (০৫ জানুয়ারি) ভোটগহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ৬টি ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত (কাষ্টিং ভোট) ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের গোলাম কিবরিয়া সবুজ। তিনি পেয়েছেন ৬৮ ভোট। টেলিফোন প্রতীকের সাবিনা ইয়াসমিন সম্পা। তিনি পেয়েছেন ১৩২ ভোট। টেবিল ফ্যান প্রতীকের রেদোয়ান আশরাফ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। দুটি পাতা প্রতীকের মেহেদী হাসান বাবু। তিনি পেয়েছেন ২৫০ ভোট। হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল মান্নান। তিনি পেয়েছেন ৫৭৪ ভোট। ঘোড়া প্রতীকের রফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৭৪৫ ভোট। অটোরিক্সা প্রতীকের রেজাউল করিম। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩ ভোট।
উড়িয়া ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, হাত পাখা প্রতীকের দেলোয়ার হোসেন। তিনি পেয়েছেন ১০৯ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকের আহসান হাবিব। তিনি পেয়েছেন ১১৯ ভোট।
উদাখালী ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামান বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৪৪০ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকের শাহিন মিয়া। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭ ভোট।
গজারিয়া ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের শামছুল আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৬৪ ভোট। আনারস প্রতীকের হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮ ভোট।
ফুলছড়ি ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, ঘোড়া প্রতীকের এম.এ সবুর। তিনি পেয়েছেন ৭২৮ ভোট।
এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন, হাতপাখা প্রতীকের জাহিদ হাসান। তিনি পেয়েছেন ৪৪৮ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল ওয়াহাব। তিনি পেয়েছেন ৯০৩ ভোট। আনারস প্রতীকের শফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪৪২ ভোট। ঘোড়া প্রতীকের আজিজুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৩ ভোট।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা থাকে। মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা নিয়ম অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত হয়।