দোয়ারাবাজার আমবাড়ি গোপাল পুর দেখার হাওরে ৪টি ডোবার মাছ লুটপাট,হামলায় মৎস্যজীবি আহত
০৬ ডিসেম্বর, ২০২১, 6:34 PM

০৬ ডিসেম্বর, ২০২১, 6:34 PM

দোয়ারাবাজার আমবাড়ি গোপাল পুর দেখার হাওরে ৪টি ডোবার মাছ লুটপাট,হামলায় মৎস্যজীবি আহত
দোয়ারাবাজার উপজেলার আমবাড়ি গোপালপুর-রামনগর ও করিমপুর সংলগ্ন দেখার হাওরে ফলায়িত ফিসারীর ৪টি ডোবার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটপাট সহ মৎস্যজীবিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মান্নারগাঁও ইউনিয়নের করিমপুর,গোপালপুর সংলগ্ন দেখার হাওরের ডোবার রেকডীয় মালিক মৎস্যজীবি মকবুলের ডোবার উত্তরপাড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মৎস্যজীবির নাম মো. মকবুল হোসেন (৩০)। সে সাওদেরগাঁও গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এস আই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, র্পূব শক্রতার জের ধরে মকবুল হোসেনের স্বত্ব দখলীয় রের্কডীয় ভূমিতে ৪টি ডোবা তৈরী করে বাশঁ কাটা লাগিয়ে মাছ ফলাইয়া মকবুল হোসেন জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার রাতে মকবুল হোসেন ডোবার পাড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে ডোবার বাশঁ-কাটা উঠিয়ে মাছ ধরার শব্দ পেয়ে মকবুল হোসেনের ঘুম ভাংলে দেখতে পান একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম, আলী হায়দর, শরাফত আলী, হেলাল মিয়া, আবু সৈয়দ, আলীম উদ্দীন, আবুল হাসনাত মশাড়ি জাল পেলে মাছ শিকার চেষ্টাকালে তাদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মকবুল হোসেনকে সবাই মিলে এলোপাতারী মারধর করলে তার চিৎকার শুনে হাওরের একজন মৎস্যজীবি মকবুল হোসেনের কাছা কাছি যাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। আহত মকবুল হোসেন বলেন, আমার রের্কডীয় ভূমির মধ্যে ৪ টি ডোবা করেছি মাছ ফলানোর জন্য। কিন্তু প্রতি রাতেই সিরাজুল ইসলাম গংরা ডোবা থেকে মাছ চুরি করে। আমি প্রাণের ভয়ে দেখেও না দেখার বান করি। ঘটনার ভোর রাতে প্রতিপক্ষরা আমাকে প্রাণে মেরে মাছ লুটের চেষ্টা করেছে।এ বিষয়ে হেলাল মিয়া বলেন, মকবুল হোসেনের জন্য হাওরে মাছ শিকার করতে পারি না। সে আমাদের মাছ ধরার ছাই ভেঙ্গে ফেলেছে। তাকে কে মেরেছে জানি না। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কমকর্তা সেকেন্ড অফিসার এসআই মো.মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তরা মৎস্যজীবি রাতে হাওরে থাকে। বাড়িতে গেলে পাওয়া যায় না। আমি ঢাকা থেকে এসে ওদেরকে ধরে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করব। এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচাজ দেব দুলাল ধর জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।