ঢাকা ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জাকিরের পিএস নোমানের তত্ত্বাবধানে জুড়ীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রভাবশালী দুই ভাইয়ের মদদেই জুড়ীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা

জাকিরের পিএস নোমানের তত্ত্বাবধানে জুড়ীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০২৫,  9:09 PM

news image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা এই মিছিল বের হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভ কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের পিএস এবং জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান নোমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে নোমান ছিলেন এস এম জাকির হোসাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সেই সময় তিনি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদের সঙ্গে দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে এলাকায় টেন্ডারবাজি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সুবিধায় প্রভাব বিস্তার করতেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি জুড়ীতে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট জুড়ী শহরে একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মিছিল বের হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী ওই সময়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের করা মামলায় কামরুল হাসান নোমানকে অন্যতম হামলাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে জামিন নেওয়ার পর তিনি আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং এস এম জাকিরের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে এলাকায় কাজ করছেন। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। নোমান এখনো গোপনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, প্রভাব বিস্তার ও এজেন্ডা বাস্তবায়নে যুক্ত, যা স্থানীয়দের কাছে ‘ওপেন সিক্রেট’।

১১ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে আবারও প্রকাশ্যে উঠে আসে তার সক্রিয়তা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে প্রকাশ্যে মিছিলের ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—কে বা কারা এ কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষক। যদিও মিছিলটি স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, তবুও এর রাজনৈতিক তাৎপর্য এবং নেপথ্য পরিকল্পনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

জুড়ীর স্থানীয় জনগণ বলছেন, এমন এক সময় যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা তুলনামূলকভাবে কমে আসছে, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পুনরায় মাঠে নামা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, নোমান ও তার সহযোগীদের পুনরুত্থান জুড়ীর রাজনৈতিক মাঠে নতুন করে শক্তির ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতা এখানেই বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠছে‌ জুড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেপথ্য কর্মকাণ্ড এখনো থেমে নেই। বরং ছায়া নেতৃত্বের আড়ালে তাদের রাজনৈতিক পুনরুত্থানের ইঙ্গিত ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান