সুনামগঞ্জ জেলা পর্যায়ে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরী করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তারা। সুনামগঞ্জ জেলায় যে কোন দূর্যোগের আবাস পেলেই সড়ক প্রচারণার মাধ্যমে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত  কাজ করে যেতে দেখা যাচ্ছে তাদের। হাট বাজারে, পাড়া মহল্লায়ও জনবসতি স্থানে চলচিত্র পদর্শন করতে ও দেখা যায় তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের। জানাযায় সরকারের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের কার্যক্রমের মধ্যে যেমন আমাদের বঙ্গবন্ধু, বীর মুজিব বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস সঙ্গীত। ঐ সমস্ত চলচিত্র পদর্শনী করা হয়ে তাকে সামাজের সাধারণ মানুষের মধ্যে। যা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দিতে বিশেষ ভূমিকা পালণ করে যাচ্ছে। এছাড়াও সন্ত্রাস, মাদক বিরোধী, জঙ্গীবাদ, অপপ্রচার ও গুজব বিরোধী, বাল্য বিবাহ বন্ধে সরকার কি কি উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রামান্য চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে জনসমূখে যা জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরী করতে কার্যকরী ভূমিকা পালণ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ জনগণের উপস্থিতে আলোচনাসভাসহ বিদ্যালয় গুলোতে অভিবাক মহিলাদের উপস্থিত রেখে মহিলা সমাবেশ করে চলেছেন তথ্য অফিসের কর্মকর্তারা।

সুনামগঞ্জ জেলার তৃণমুল পর্যায়ে গ্রামে গ্রামে পরিবারের অবিভাবকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে উন্নয়ণ মূলক কাজ করার তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্র পদর্শনীর মাধ্যমে সমাজের মানুষদের সচেতন করে চলেছেন যা দেশ ও সমাজকে উন্নয়ণের দিকে এগিয়ে নিতে সাধারণ নারী পুরুষ মানুষের মনে মনবল সৃষ্টি করে সরকারের উন্নয়ণ কাজে এগিয়ে নিতে অপরসীম ভূমিকা রাখছে। তথ্য অফিসের এমন কার্যক্রম এজেলার সাধারণ মানুষকে সচেতন করে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস ও দেশপ্রেম সম্মন্ধে ভালবাসা জাগ্রত করে চলেছে প্রতিনিয়ত যা যে কারও নজরে পড়ার মতো। 

এসব কার্যক্রমের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো: আব্দুস ছত্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালী বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠকন্যা বর্তমান মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার মেয়াদে এদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং একটানা বারো বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালণ করে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সúরিবারে হত্যা করা হয় । সে সময় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করায় প্রাণে বেচেঁ যান।  ছয় বছর বয়সে নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি ১৯৮১সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে আসেন এবং তখন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালণ করছেন।  মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সংগ্রাম করেন। তিনি এদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর এদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।  বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ণশীল দেশের কাতারে অন্তভূক্তি করণ, নিজস্ব দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ , ঢাকা মেট্রোরেল চলাচলের ব্যবস্থা করা, শান্তি প্রতিণ্ঠা করা , গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করাস আর্থসামাজিক উন্নয়ণে অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাতিষ্ঠান থেকে শেখ হাসিনাকে ডিগ্রী ও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভাল বাসেন বলেই এবং তার নিলস পরিশ্রমের ফলে। আমরা সরকারের নির্দেশে এ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জেলার মানুষকে সরকারের সাথে সেতু বন্ধন তৈরী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।