ঈদের ছুটিতে শিমুল বাগানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
০৭ মে, ২০২২, 2:45 PM

০৭ মে, ২০২২, 2:45 PM

ঈদের ছুটিতে শিমুল বাগানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন ভাটির জনপদ হাওর বেষ্টিত এলাকার পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম পর্যটন স্পট এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর তাহিরপুর উপজেলার শিমুল বাগানে।
ছুটির দিনগুলোতে দলবেঁধে ছুটে আসেন স্কুল-কলেজ,ইউনিভার্সিটি,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানবীশ ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর পেশাজীবি মানুষজন।আবার অনেকেই আসেন শিক্ষা-সফর বনভোজনে।তবে শিমুল বাগানে এখন লাল ফুল নেই।শিমুল গাছে এখন নতুন করে পাতা গজাতে শুরু করেছে।দু-চোখ দিয়ে সবুজের এক বিশাল স¦র্গরাজ্য দেখা যায়।এমন সবুজের সমারোহ দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ভিড়জমান বৃহত্তর এই শিমুল বাগানে।’
যাদুকাটা নদী তীর ঘেঁষা মানিগাঁও এলাকায় ১০০ বিঘা জমিতে ২০০৩ সালে ৩ হাজারের অধিক সারি সারি বেঁধে শিমুলের চারা শখের বসে রোপন করেন,বৃক্ষ প্রেমিক বাদাঘাট ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন।তার নাম অনুসারে ওই বাগানের নাম করন করা হয়েছে“জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান”এই বাগানের অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দলবেঁধে আসেন দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের ভ্রমন পিয়াসু প্রকৃতি প্রেমিকগণ।
সুনামগঞ্জ সদর থেকে আসা পর্যটক নাসরিন আক্তার বলেন,শিমুল বাগানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না এখানে আসলে মন ভালো হয়ে যায়।তিনি দেশের অন্যন্য পর্যটকদের প্রতিদৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন-সময় করে পরিবার নিয়ে চলে আসতে পারেন রক্তিম শিমুল বাগানে আসলে অনেক ভালো লাগবে।’
রাজধারী ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো.রানা বলেন,শিমুল বাগানের রক্তিম শিমুল গাছের যে সৌন্দর্য্য তা নিজ চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না যে,কেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই বাগানে।তিনি আরো বলেন,রাস্তাঘাট ভালো থাকলে আরো বেশী পর্যটক আসতেন এই শিমুল বাগানে।
বাগানের মালিক প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন জানান, এই শিমুল বাগান তার মরহুম পিতা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনকে সারা দেশের মানুষের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে আসা পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।