হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই গ্রামে তদন্তে সি বি আই
২৬ মার্চ, ২০২২, 7:39 PM

২৬ মার্চ, ২০২২, 7:39 PM

হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই গ্রামে তদন্তে সি বি আই
পশ্চিম বাংলার বীরভূম জেলার রামপুরহাট গনহত্যার ঘটনার তদন্ত করতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সি বি আই এর তিন দল গতকাল গভীর রাতে বগটুই গ্রামে পৌঁছে। এবং সেখানে যাওয়ার পর সি বি আই দলটি তিন টি ভাগে বিভক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করে। এই সি বি আই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডি আই জি শ্রী অখিলেশ সিঙ আই পি এস। সি বি আই প্রথম দলটি বগটুই গ্রামে পৌঁছে তদন্তের জন্য পোড়ামাটির নমুনা সংগ্রহ করে এবং আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই সাথে সি বি আই এর একটি দল পৌঁছে যায় রামপুরহাট থানাতে এবং একটি দল পৌঁছে যায় রামপুরহাটের তারা পীঠ থানাতে। যেখান থেকে এই বগটুই গনহত্যার ঘটনার জড়িত থাকার কারণে আনারুল হোসেন কে গ্রেফতার করা হয় পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে। এবং সেখান থেকে কেস ডাইরি নেন ও অন্যদিকে আরেকটি দল পৌঁছে যায় রামপুরহাট থানাতে সেখান থেকে কেস ডাইরি নেন। এবং এই গনহত্যার মামলার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরোধী কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে ছিল পশ্চিম বাংলার পুলিশ তা জানতে চান। এবং কারা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা জানতে ভাদু সেখের বাড়ির সদস্যদের সাথে কথা বলবেন। এই ঘটনার পর পুরো বগটুই গ্রামে মহিলা ও পুরুষ শূন্য হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার পর পশ্চিম বাংলার পুলিশের ডি আই জি শ্রী ভরত লাল মিনা এবং বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্রী নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী আই পি এস এর কাছ থেকে সবধরনের সহায়তা প্রদান করার জন্য সি বি আই পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অন্যদিকে এই বগটুই গ্রামে গনহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আনারুল হোসেন কে ভাদু সেখের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করতে এবং হত্যা করতে বলেছিলেন তা জন্য সি বি আই এর হাতে সব আসামিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পূণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আগামী ৭ই, এপ্রিল এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ এ জমা দিতে হবে।। এই ঘটনার পর বিভিন্ন যায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের হয় এবং এই গনহত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রত্যেক কে কঠোর তম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী অধীর চৌধুরী।